শেয়ার তলব সংক্রান্ত নিয়মাবলী আলোচনা কর

উত্তর কোন কোম্পানি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টিত শেয়ারের অপরিশোধিত মূল্য পরিমেল নিয়মাবলীর নিয়ম অনুসারে কিস্তিতে পরিশোধ করার নির্দেশকে শেয়ার তলব বলে । কোম্পানি কর্তৃক এই শেয়ার তলব সম্পর্কিত নিয়মাবলী নিম্নে আলোচনা করা হলোঁ :

১। পরিমেল নিয়মাবলী ও বিবরণপত্র অনুসরণ : শেয়ার তলব সংক্রান্ত নিয়মাবলী অবশ্যই কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলী এবং বিবরণপত্রে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে হতে হবে । তবে এরূপ ব্যতিক্রম সাধারণ মানের হলে তার জন্য তলব অবৈধ হবে না।

২। তলবের সময় ও অর্থের পরিমাণ : পরিচালকগণ সময় সময় সদস্যদের শেয়ারের অপরিশোধিত মূল্য তলব করতে পারবেন। তবে উক্ত শেয়ারের নামিক মূল্যের এক-চতুর্থাংশের অধিক মূল্য তলব করা যাবে না অথবা সর্বশেষ তলবের অন্যূন এক মাসের মধ্যে তা পরিশোধযোগ্য হবে না এবং প্রত্যেক সদস্য তার শেয়ারের উপর তলবকৃত মূল্য ১৪ দিনের একটি নোটিশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ে কোম্পানিকে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। [তফসিল-১, ধারা-১২]

৩। স্পষ্টীকৃত নোটিশ : শেয়ার তলব জারি হওয়ার পর শেয়ারহোল্ডারগণ কবে, কোথায়, কি পরিমাণ অর্থ জমা দিবে তা অবশ্যই নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে। মৌখিক বিজ্ঞপ্তি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয় ।

৪। অপরিশোধিত তলবের সুদ আদায় : শেয়ার তলবের অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে পরিমেল নিয়মাবলীতে উল্লেখিত পরিমান সুদ শেয়ারহোল্ডারদের কাছ তেকে আদায় করা যাবে ।

৫। পরিমেল নিয়মাবলীর অক্ষমতা : পরিমেল নিয়মাবলী দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে একই শ্রেণীভুক্ত শুধুমাত্র কতিপয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছ মামলা করে অর্থ আদায় : কোন শেয়ারহোল্ডার শেয়ারের তলবকৃত অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে, তার বিরুদ্ধে মামলা করে উক্ত অর্থ আদায় করা যাবে।

৭। শেয়ার বাজেয়াপ্তকরণ : কোন শেয়ারহোল্ডার তলবকৃত অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ না করলে, কোম্পানি তৎকর্তৃক ধারণকৃত শেয়ার বাজেয়াপ্ত করতে পারে।

৮। তলবের পার্থক্যঃ কোম্পানি কর্তৃক শেয়ার তলবের কোন কিস্তির অর্থের পরিমাণ শেয়ারের আঙ্কিক মূল্যের এক-চতুর্থাংশের অধিক হতে পারবে না এবং দু'টি তলবের মাঝে সময়ের পার্থক্যও অন্ততপক্ষে এক মাস হবে। [তফসিল-১, ধারা-১২]

৯ । অগ্রিম তলব : পরিমেল নিয়মাবলীর বিধান সাপেক্ষে পরিশোধিত শেয়ার তলবের অর্থ অগ্রিম গ্রহণ করা যেতে পারে। এটা অতলবী অর্থের সম্পূর্ণতা হতে পারে আবার আংশিকও হতে পারে । শেয়ারহোল্ডার এবং পরিচালকদের সমঝোতা অনুযায়ী উক্ত অর্থের উপর সর্বোচ্চ ৬% হারে সুদ প্রদান করা যাবে। [তফসিল-১, ধারা-১৭]

১০। যৌথ শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষেত্রে দায় : যে ক্ষেত্রে শেয়ারের যৌথ মালিক বিদ্যমান সেক্ষেত্রে শেয়ার তলবী অর্থ প্রদানের জন্য তারা একক বা যৌথভাবে বাধ্য থাকে।

১১। অর্থ প্রদানে অসম্মতিতে বাধাঃ বিবরণপত্রে মিথ্যে বিবৃতির অভিযোগে কোন শেয়ারহোল্ডার শেয়ার তলবের অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতে পারে না। অবশ্য সে যদি সদস্য তালিকা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয় তবে এ বিধি কার্যকরী হবে না ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url